সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন
Headline
সিআরবি নরসিংদীর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাম্বাসেডর আব্দুল হান্নান মানিক ঢাকা বিভাগের ডিভিশনাল অ্যাম্বাসেডর পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত। কুমিল্লায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত জাজিরায় চোখ হারানো রমজান পেলেন নতুন জীবিকার সুযোগ বাঞ্ছারামপুরের জনগণ ধানের শীষের প্রার্থী ছাড়া অন্য কাউকে মেনে নেবে না : পলাশ মহাকবি আল্লামা ইকবালের ১৪৮তম জন্মবার্ষিকী আজ” রাজস্থলীতে কাপ্তাই সেনাজোন কর্তৃক ৩০টি পরিবারকে বিনামূল্যে ব্ল্যাক-বেঙ্গল ছাগল হাঁস ও মুরগী বিতরণ। কুমিল্লা-৬ ১৭ বছরের বটবৃক্ষ ইয়াছিনকে সরাবেন না-সংবাদ সম্মেলন তারেক রহমানের প্রতি নির্যাতিত পরিবারের আবেদন নিজেদের নামে কাগজপত্র থাকলেও জমি নিয়ে বিপাকে ৬ পরিবার চুয়াডাঙ্গায় নরসিংদীর শিবপুরে মানসুর আত-তুর্কি মাদরাসা ও ইয়াতীমখানায় ইসলামী মহা সম্মেলন বাগমারায় বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
Headline
Wellcome to our website...
ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যালয়ের ফান্ডের ৪০/৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ, দুদকে অভিযোগ
/ ১১৯ Time View
Update : বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০২৪, ৩:৩২ অপরাহ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যালয়ের ফান্ডের ৪০/৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ, দুদকে অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টর মো: নাইয়ুম ইসলাম, ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা শূন্য করে ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ রায়ের (পিআরএল ভোগরত) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করেছেন মো. আব্দুর রহমান নামে এক অভিভাবক।

বুধবার (৭ আগস্ট) দুদকে অভিযোগ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঠাকুরগাঁওয়ের উপ-পরিচালক তাহসিন মুনাবীল হক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ রায় জানুয়ারি ২০২৪ এর মাঝামাঝি হতে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফান্ড হতে ৪০ হতে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। এই টাকা রংপুরে নির্মাণাধীন বাড়ীতে খরচ করেছেন। বিদ্যালয়ের সবগুলো ফান্ড এখন প্রায় শূন্য। বিদ্যালয়ের মাস্টার রোলের কর্মচারী ও মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জেনের বেতন দিতে পারছেন না বর্তমান প্রধান শিক্ষক।

এছাড়াও সততা প্রেস, বুক সেন্টার, মানিক ডেকোরেটর সহ আরও অনেক দোকানদার বিদ্যালয়ের নিকট পাওনা আছে৷ বিদ্যালয়টির চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী জুয়েল ইসলামের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সব টাকা উত্তোলন করেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, পৌরশহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সততা প্রিন্টিং প্রেস,তাতীপাড়ায় বুক সেন্টার ও চৌরাস্তায় অবস্থিত ডেকোরেশনের দোকানে বিদ্যালয়ের নামে কয়েক লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে।

বিদ্যালয়টির বর্তমান প্রধান শিক্ষক মতাহার উল আলম ঢাকা মেইলকে বলেন, তিনি ফান্ডের টাকা থেকে কাজ করার কথা বলেছেন৷ তবে আমাকে ভাউচার জমা দেননি৷ আমি যখন চার্জ বুঝে পায় তখন বিভিন্ন ফান্ডে প্রায় ৮ লাখ টাকা পেয়েছি। ফান্ডে টাকা কম থাকায় মাষ্টার রোলে কর্মচারীদের বেতন দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা৷ আর বিদ্যালয়ের কেনাকাটার অনেক বকেয়া রয়েছে বিভিন্ন দোকানে। আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ফান্ডিং বাড়ানোর জন্য৷

অভিযুক্ত সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ অভিযোগটি সত্য না। আমি বিদ্যালয়ের অনেক গুলো কাজ করেছি। বিদ্যালয়ের রাজা স্যার এসব বিষয়ে সবকিছু অবগত রয়েছেন৷ তাকে জিজ্ঞেস করলে জানতে পারবেন৷

দুদকের জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক তাহসিন মুনাবীল হক বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি হেড অফিসে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে৷

বিদ্যালয়টির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মাহবুবর রহমান বলেন, আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে আমাদের কাছে প্রতিষ্ঠানের কোন ফাইল আসেনা। সে কারণে এ বিষয়ে জানার বা বলার কোন সুযোগ নেই৷

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাদের কেউ জানাননি বা অভিযোগ করেননি। শুনেছি তিনি অবসরে চলে গেছেন। তবে অভিযোগের সতত্যা পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page