মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৯ অপরাহ্ন
Headline
বাগমারা আউচপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে শীতবস্ত্র বিতরণ বসুন্ধরা চক্ষু চিকিৎসা পেলেন শরীয়তপুরের এক হাজার অসহায় মানুষ বাগমারা আউচপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে শীতবস্ত্র বিতরণ মাটিরাঙায় সেনা অভিযানে ১৪ লাখ টাকার অবৈধ সিগারেট জব্দ শাল্লা’র সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অবনী মোহন গ্রেপ্তার গোপালগঞ্জে কাজুলিয়া ঘর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার। হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের মাসিক কল্যাণ,অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত নরসিংদীর পুটিয়া ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ডের জনগন মরণফাদ থেকে বেঁচে গেলেন বাউফলে অপহৃত শিবু বনিককে উদ্ধার, দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ ডাকাত গ্রেফতার! কুমিল্লা দেবীদ্বারে বালু বোঝাই ট্রাক্টর উল্টে প্রাণ গেল চালকের
Headline
Wellcome to our website...
দেশে এলে বিমানবন্দরেই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়: প্রধানমন্ত্রী
/ ৩৯৯ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪, ৫:৩১ অপরাহ্ন

ঢাকা: তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং আওয়ামী লীগের ভেতর থেকেও ২০০৭ সালের ৭ মে দেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে এলে বিমানবন্দরেই মেরে ফেলা হবে, এমন হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।

 

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। ২০০৭ সালের ৭ মে সব বাধা উপেক্ষা করে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।

গণতন্ত্র পুরুদ্ধার দিবস উপলক্ষে সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, আজকের দিনটা আমার জীবনের অনন্য দিন। কারণ আমি সেদিন দেশে ফিরে এসেছিলাম শত বাধা অতিক্রম করে। আমাকে সেই সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনেক উপদেষ্টাও ফোনে বলেছিল—আপনি আসবেন না, আপনার বাইরে থাকার যা যা লাগে করব। আবার কেউ কেউ ধমকও দিয়েছিল। এ কথা বলা হয়েছিল—বাংলাদেশে ফিরলে ওই এয়ারপোর্টেই মেরে ফেলে দেবে। আমি বলেছিলাম—আলহামদুলিল্লাহ, আমি নিজের দেশের মাটিতেই তো আসব!

সমস্ত এয়ারলাইন্সকে নিষেধ করা হয়েছিল, আমাকে বোর্ডিং পাস যেন না দেওয়া হয়। আমেরিকায় তিন ঘণ্টা এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে তাদের সঙ্গে ঝগড়া করে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে লন্ডন পর্যন্ত আসি। লন্ডনে যেদিন আমি প্লেনে উঠতে যাব, উঠতে দেওয়া হয়নি। সেদিন আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, যেভাবেই হোক আমি দেশে ফিরব। এমনকি আমি যখন এয়ারপোর্টে রওয়ানা হই, তখন অনেকে আমাকে ফোনে বলেছেন—আপনি আসবেন না, এলে আপনাকে মেরে ফেলে দেবে। আমি পরোয়া করিনি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, আমাদের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, কর্মী ভাইদের প্রতি। তখন বলা হয়েছিল, কেউ যেন এয়ারপোর্টে না যায়। এমনকি আমার দলের ভেতর থেকেও। তখন দলের যিনি সেক্রেটারি ছিলেন, তিনি সবাইকে বলে দিয়েছিলেন—এয়ারপোর্টে গেলে তাকে বহিষ্কার করা হবে, কয়েকজনের নাম নির্দিষ্ট করা ছিল। আর আমাদের নেতাকর্মী কেউ রাস্তায় থাকতে পারবে না। আমি শুধু একটাই মেসেস দিয়েছিলাম—সবাই থাকবে; আমরা গেরিলা যুদ্ধ করেছি, সবাই থাকবা, তবে ঘাসের সঙ্গে থাকবা। আমি বলেছিলাম, আমার প্লেনটা না নামা পর্যন্ত, আমি দরজা খুলে না বের হওয়া পর্যন্ত তোমরা বের হবে না। আমাকে বলা হয়েছিল—আমি গাড়িতে উঠলে আমাকে একটা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি ড্রাইভারকে বলেছিলাম, যেদিকে মানুষ যাচ্ছে সেদিকে যাবা, ফ্লাইওভারের উপরে উঠবা না। হাজার হাজার মানুষ তখন রাস্তায়। আমি ধন্যবাদ জানাই কৃতজ্ঞতা জানাই আমার নেতাকর্মীদের। একদিকে তারা সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেছে অপরদিকে আমার দলের অভ্যন্তরে কিছু লোকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শুধু সংবর্ধনা নয়, আমাকে নিরাপত্তাও দিয়েছে।

তিনি বলেন, এক পর্যায়ের হাউজ অ্যারেস্ট ছিলাম, কাউকে ঢুকতে দিত না।  সেই সময় হঠাৎ কালেভদ্রে দুই-একজন আসতে পারত। সাবিনা ইয়াসমিন অসুস্থ, আমি কিন্তু গেরিলা কায়দায় বেরিয়ে গিয়েছিলাম, পুলিশের চোখ এড়িয়ে আমি হাসপাতালে চলে যাই। সেদিন সেখানে আমি খুব কড়া কথা বলি, আমি বলেছিলাম, সে সময় দেশ চালাচ্ছে কে? পরের দিন সকালে পুলিশ এসে হাজির, আমিও হাজির। আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে, সেখানে ফাঙ্গাস পড়া, সংসদ ভবনের খুবই নোংরা এক পরিত্যক্ত ভবনে আমাকে বন্দি করে রাখে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু এই দিন নয়, ’৮৩ সালেও এরশাদ সাহেবও আমাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছিল ৩০ হেয়ার রোড লাল দালানে। সেখান থেকে ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে যায় ইন্ট্রোগেট করতে। এরশাদ সাহেব আমাকে আরও কয়েকবার গ্রেপ্তার করে। আমি মতিয়া আপা, সাহারা আপা (এখন নেই) আমাদের তিনজনকে একসঙ্গে নিয়ে যায়, কখনো কন্ট্রোলরুমে সারা রাত বসিয়ে রাখে। শুধু তাই নয়, বার বার গ্রেপ্তার, সরাসরি গুলি-বোমা-গ্রেনেড সবকিছু অতিক্রম করে আজকে এখানে এসে জনগণের সেবা করতে পারছি।

এখন আমি শুধু দাঁড়িয়েছি বাংলাদেশের জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানাতে, দলের নেতাকর্মীরা সবকিছু উপেক্ষা করে, সাধারণ জনগণও তারা যে গিয়েছিলেন, যার জন্য আমি দেশে ফিরতে পেরেছিলাম। আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আমি আসব। ১৯৮১ সালের ১৭ মে আমি এসেছিলাম ৬ বছর পরে। এরপর ২০০৭ সালে ৭ মে আমি আবারও সব উপেক্ষা করে আসি। বাবা-মা আমাদের শিখিয়েছিলেন সাহসের সঙ্গে এগিয়ে চলার, জনগণের জন্য কাজ করার।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। দেশের মানুষই আমার একমাত্র শক্তি এবং পেরণা। সেই শক্তি নিয়েই আমি এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আর সবচেয়ে বড় কথা, আমি যখন বন্দি ছিলাম আমার ছোট বোন রেহানা, সে রাজনীতি করে না, সামনে নেই; কিন্তু সে অসাধ্য সাধন করতে পারে। প্রত্যেকটা জেলা-উপজেলা, সকল নেতাকর্মী সকলের সাথে যোগাযোগ করেছে। ওই লন্ডনে বসেই সে কাজ করেছে। তার জন্য আমার দোয়া।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page