
কুমিল্লায় মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার পর মাটিচাপা দিয়ে রাখার দুইদিন পর পিতা আটক।
এ.কে পলাশ কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ নির্ভয়পুর গ্রামে মাদকাসক্ত এক পিতা মারিয়া আক্তার নামের এক কন্যা শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়ে রাখার দুইদিন পর শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত তাজুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার জোড়কানন পূর্ব ইউনিয়নের নির্ভয়পুরের পার্শ্ববর্তী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ২০৯৩ নম্বর পিলারের বাংলাদেশ অভ্যন্তর থেকে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মারিয়া আক্তার (৫) উপজেলার জোড়কানন পূর্ব ইউনিয়নের নির্ভয়পুর গ্রামের আটককৃত আসামি তাজুল ইসলামের (৪২) মেয়ে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা সদর দক্ষিণের জোড়কানন ইউনিয়নের নির্ভয়পুর আদর্শ গ্রামের মাদকাসক্ত বাবা তাজুল ইসলামের কথা না শুনার অভিযোগে মারিয়া আক্তার নামে তার মেয়ে শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়েছে। স্থানীয়রা পচা দুর্গন্ধ পেয়ে সন্দেহজনক ভাবে তাজুল ইসলাম জিজ্ঞেস করলে তিনি হত্যার কথা শিকার করেন। পরে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর দিলে রবিবার সন্ধ্যায় জোড়কানন পূর্ব ইউনিয়নের নির্ভয়পুরের পার্শ্ববর্তী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ২০৯৩ নম্বর পিলারের বাংলাদেশ অভ্যন্তর থেকে নিহত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে ও অভিযুক্ত পাষণ্ড পিতা তাজুল ইসলামকে আটক করে সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, রবিবার বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে উপজেলার নির্ভয়পুর গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়। সেখানে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্ত পিতা তাজুল ইসলামকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে বাড়ির পাশের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ২০৯৩ নম্বর পিলারের বাংলাদেশ অভ্যন্তরে চিতাখলা নামক স্থানে মাটি চাপা দেওয়া মারিয়াকে মৃত উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাজুল ইসলাম পুলিশকে জানায়, শুক্রবার (১১ অক্টোবার) সকাল ১০টার দিকে তার কন্যা শিশু মারিয়াসহ তিনি গাছের চারা রোপন করতে যান। এক পর্যায়ে মেয়েকে একটি গাছের ঢাল নিয়ে আসতে বলেন তিনি। সে কথা না শুনায় রাগান্বিত হয়ে তার হাতে থাকা দা দিয়ে গলায় কোপ দিলে মেয়ে মারিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে পাশে চিতাখলা নামক স্থানে মাটি চাপা দিয়ে বাড়িতে চলে যান।
বিকাল থেকে নিখোঁজ মর্মে এলাকায় মাইকিং করে খোঁজাখুজি করা হয়। রবিবার স্থানীয়রা পচা দুর্গন্ধ পেয়ে সন্দেহজনক ভাবে তাজুল ইসলাম জিজ্ঞেস করলে তিনি হত্যার কথা শিকার করেন। এঘটনায় নিহত শিশুর মা রেহানা আক্তার বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করবে বলে জানান তিনি।
