

বাংলাদেশের সবচেয়ে অমানবিক পেশাজীবি রিক্সাচালক আর সিএনজি চালক
আহমাদুল রহমান ,,গাজীপুর
গতকাল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গাজীপুরে রিক্সাওয়ালা আর সিএনজিওয়ালাদের যেন ঈদ। তার উপরে বৃষ্টি! ইউনিফর্ম পরা বা অভিভাবক সহ ছেলেমেয়েদের দেখলেই ভাড়া ডাবল চাইছে!
আজ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বৃষ্টির কারণে যে দূরত্বের ভাড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা হতে পারে সেগুলো তারা ৮০ থেকে ১০০ টাকা করে চাচ্ছিলো। কারো গায়ে ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে ইউনিফর্ম থাকলে তো ১২০ টাকা!
আপনি সাথে অসুস্থ মানুষ নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন কিন্তু এদের তা দেখেও কোনো বিকার হবে না। তাদের পছন্দসই ভাড়ায় তাদের পছন্দসই গন্তব্য হলেই তখন তারা আপনাকে যাত্রী হিসেবে নেবে।
আপনি নিজে বা সন্তান বা কাউকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজের জন্য বা পরীক্ষা দিতে যাবেন সময়ের যথেষ্ট আগেই বের হবেন কিন্তু এরা অতিরিক্ত ভাড়া ছাড়া আপনাকে গন্তব্য নেবে না।
যেকোনো গোলযোগ বিপদ দূর্যোগ অথবা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সবার আগে যারা পরিস্থিতি সুযোগ নিবে তারা হচ্ছে রিক্সাওয়ালা এবং সিএনজিওয়ালা। আবার বিভিন্ন সমস্যায় এরাই সবার আগে সাহায্যের জন্য হাত পেতে বসে থাকে।
পেশার প্রতি সৎ না থাকলে সেই পেশায় উন্নতি করা যায় না তার সবচাইতে বড় উদাহরণ এই দুই পেশাজীবী।
২-৪ জন সৎ রিক্সাওয়ালা অথবা সিএনজি ওয়ালার জন্য সবাইকে এই পেশায় ভালো বলার কোন সুযোগ নেই। তারা খারাপ বলি তাদের দু-একটা কাজ রীতিমতো সংবাদপত্রের সংবাদ হিসেবে আবির্ভূত হয়! তাই অপ্রয়োজনে তাদের পক্ষ নিয়ে এখানে কেউ কথা না বলাই উচিৎ।